গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় ২০২২| ওয়েবসাইট থেকে কীভাবে অনলাইনে আয় শুরু করবেন |

বিজ্ঞাপন প্রদর্শন- এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ট্র্যাফিককে মনিটাইজেশন করতে গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার হল সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে কার্যকর মনিটাইজেশন পদ্ধতিগুলির মধ্যে একটি।  যদিও এটি তুলনামূলক সহজ, গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় ২০২২ এ অনলাইনে অর্থ উপার্জন সাফল্যের সাথে শুরু করতে আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট বিষয় বুঝতে হবে।

এই নিবন্ধে আমরা আপনাকে দেখাতে চাই কিভাবে গুগল অ্যাডসেন্স দিয়ে অর্থ উপার্জন শুরু করতে হয়। মনে রাখবেন যে আমরা শুধুমাত্র AdSense এর উপর ফোকাস করব এবং আপনার বিজ্ঞাপনগুলি অপ্টিমাইজ করব ৷ 



গুগল অ্যাডসেন্স কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে?


AdSense হল একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক যা প্রকাশক এবং বিজ্ঞাপনদাতা-দের কানেক্ট করে। প্রকাশকরা তাদের ওয়েবসাইটগুলিকে বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করে, যার ফলে বিজ্ঞাপন দাতাদের সেই ওয়েবসাইটগুলিতে তাদের বিজ্ঞাপনগুলি প্রদর্শনের জন্য বিড করার অনুমতি দেয় ৷


যদি কোনো ওয়েবসাইট ভিজিটর কোনো বিজ্ঞাপনে ক্লিক করেন বা দেখেন, তাহলে প্রকাশক বিজ্ঞাপনটির জন্য বিজ্ঞাপন দাতার বিডের একটি নির্দিষ্ট অংশ প্রদান করেন। ফি এর হিসাবের সকল কিছু  Google এর নীতিমালা অনুযায়ী ঠিক করা থাকে।



গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন ? কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব?



Google ‘বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক’ -এ কাকে অনুমতি দিবে, না দিবে, সে সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটি খুব ‘পার্টিকুলার’ বা হিসাবি ! তারা সবসময় চায় ওয়েবসাইট গুলো ‘হাই-কোয়ালিটি’ সম্পন্ন হোক।  তারা এ-ও চায় -তাদের বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের ‘ইন্টিগ্রিটি’ বজায় থাকুক।

তাই, কিছু ‘মৌলিক রিকোয়্যারমেন্টস’ আছে, যা প্রত্যেক পাবলিশার-কে অবশ্যই মেনে চলতে হয়। এর কিছু নিচে উল্লেখ করা হলো : গুগল এডসেন্স এর নিয়ম:

⦿  ১৮ বছর বয়সী হতে হবে ।

⦿  একটি সক্রিয় জিমেইল অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে, যেটি ইতোমধ্যে একটি অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টের সাথে লিঙ্ক করা হয়নি ।

⦿  এমন ওয়েবসাইট বানাতে হবে যা Google-এর ‘টার্মস অফ সার্ভিস’ (TOS ) মেনে চলবে। 

⦿ তদুপরি, Google প্রোগ্রাম নীতিগুলি মেনে চলতে হবে, তবে অ্যাডসেন্স এর গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে কিছু অতিরিক্ত বিষয় মেনে চলা উপকারী । যেমন 

⦿ অন্তত ৩০ টি ‘ইউনিক পোস্ট’ সহ একটি ওয়েবসাইট

⦿ ওয়েবসাইট অন্তত তিন মাস পুরানো এবং 

⦿ কিছু ‘ট্র্যাফিক’ জেনারেট করা থাকে ৷

 

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় ২০২২? আপনার ওয়েবসাইট যত বেশি ট্রাফিক নিশ্চিত করবে, ততোই ভাল এবং আপনার উপার্জনের সম্ভাবনা তত বেশি।এখানে একটি অ্যাকাউন্ট পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে খুব বেশি বিশদে যেতে যাচ্ছি না কারণ এ সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ নির্দেশিকা সম্পর্কে পরে লেখবো ।



গুগল অ্যাডসেন্স অনুমোদন পেতে কতদিন  সময় লাগে?


সাধারণত, পাবলিশার্স-রা ২৪-৪৮  ঘন্টার মধ্যে অ্যাডসেন্স অনুমোদন পায়, তবে অনুমোদন পেতে সর্বোচ্চ ১-২ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।



‘গুগল এড্স’র বিভিন্ন প্রকার:



একবার অনুমোদিত হয়ে গেলে, আপনি AdSense বিজ্ঞাপন চালানো শুরু করতে এবং বিজ্ঞাপন থেকে উপার্জন করতে প্রস্তুত। এটি করার আগে বিভিন্ন ধরণের বিজ্ঞাপন ইউনিটগুলি সম্পর্কে ধারণা থাকা ভাল। পাঁচটি ভিন্ন ধরনের অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ডিসপ্লে, ইন-ফিড, ইন-আর্টিকেল, ম্যাচড কনটেন্ট এবং লিংক এডস।

ডিসপ্লে এড্স:  সাধারণ বিজ্ঞাপন প্রদর্শন ইউনিট রেস্পন্সিভ এন্ড কাস্টোমাইজাবেল। এই বিজ্ঞাপন প্রায় সব জায়গায় ভাল কাজ করে. এই ধরনের বিজ্ঞাপন প্রতিক্রিয়াশীল হতে পারে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিভাইসের স্ক্রিনের আকারের সাথে মানিয়ে নিতে পারে যেখানে এটি পরিবেশন করা হচ্ছে। এটি নির্দিষ্ট আকারের জন্যও কনফিগার করা যেতে পারে এবং এএমপি (অ্যাক্সিলারেটেড মোবাইল পেজ) এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

ইন-ফিড বিজ্ঞাপন: নেটিভ বিজ্ঞাপন যা ফিড, সাইডবার বা তালিকার সাথে মানানসই। তারা স্বাভাবিকভাবে ফ্লো করে থাকে এবং একটি ভাল ‘ইউজার এক্সপেরিয়েন্স’ প্রদান করে।

ইন-আর্টিকেল বিজ্ঞাপন: ‘রীডিং এক্সপেরিয়েন্স’ কে ব্যাহত না করে এই ‘নেটিভ বিজ্ঞাপন’ একটি নিবন্ধের বিষয়বস্তুর মধ্যে সঠিকভাবে ফিট করে।

ম্যাচড কনটেন্ট বিজ্ঞাপন: এটি এমন বিজ্ঞাপন যা ইউজারদের কাছে আপনার ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু-কে রিকমেন্ড করে, এবং যা পেইজ ভিউ, ‘ইউজার টাইম অন পেজ’ এবং আপনার বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার সম্ভাবনা বাড়াতে সাহায্য করে।

লিঙ্ক বিজ্ঞাপন: একটি পাঠ্য লিঙ্ক বিন্যাসে বিজ্ঞাপন যা প্রতিক্রিয়াশীল বা একটি নির্দিষ্ট আকারের হতে পারে। এটি আপনার পৃষ্ঠার বিষয়বস্তুর সাথে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলি প্রদর্শন করে।


আরো পড়ুন : বাইপোলার ডিসঅর্ডার কি সম্পূর্ণ ভালো হয়



আপনার প্রথম বিজ্ঞাপন ইউনিট তৈরি করা সম্পর্কে গাইড


বিজ্ঞাপন ইউনিটগুলি একটি নির্দিষ্ট ওয়েব পেইজ বা মোবাইল অ্যাপের মধ্যে বিজ্ঞাপনের স্থানকে নির্দেশ করে যেখানে আপনি আপনার বিজ্ঞাপনগুলি প্রদর্শন করেন। এটি করার জন্য, আপনাকে প্রথমে একটি বিজ্ঞাপন ইউনিট তৈরি করতে হবে এবং তারপরে কোডটি যোগ করতে হবে যেখানে আপনি সেই বিজ্ঞাপনটি আপনার ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করতে চান৷

আপনার প্রথম বিজ্ঞাপন ইউনিট তৈরি করা তুলনামূলকভাবে সহজ, এবং আমরা আপনাকে ডিসপ্লে বিজ্ঞাপন দিয়ে শুরু করার পরামর্শ দিই।

আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন ইউনিট যোগ করার অনেক উপায় আছে।


আপনি যে ওয়েবসাইট প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন তার উপর নির্ভর করে আপনার বিজ্ঞাপন ইউনিট যোগ করার জন্য আপনাকে ওয়েবসাইট কোড সম্পাদনা করতে হতে পারে। কিছু প্ল্যাটফর্মে বিল্ট-ইন কার্যকারিতা রয়েছে যা বিজ্ঞাপনগুলিকে সমর্থন করে এবং আপনার বিজ্ঞাপন ইউনিট কোড যোগ করা অনেক সহজ করে তোলে।

ওয়ার্ডপ্রেসের মতো প্ল্যাটফর্মের সাথে, আপনি আপনার বিজ্ঞাপনগুলি প্রদর্শন করতে থিমের মাধ্যমে বিভিন্ন প্লাগইন, ওয়েবসাইট উইজেট এবং সাইটব্যাপী সেটিংস ব্যবহার করতে পারেন। আপনি এখানে বিজ্ঞাপন কোড প্রয়োগ করার একাধিক উপায় সম্পর্কে জানতে পারেন।



আপনি এডসেন্স  ব্যবহার করে অনলাইন ওয়েবসাইট থেকে কত আয় করতে পারেন?


গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে ২০২২ এ অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে এবং আয়ের পরিমান কত হতে পারে, সেটি আপনার ‘সিলেক্টেড নিশ’ এর প্রতিযোগিতা এবং প্রতি ক্লিকের খরচ (CPC) এর উপর নির্ভর করে। Google আপনার বিজ্ঞাপনে প্রতি ক্লিকে অর্থ প্রদান করে, কিন্তু এটি সেখান থেকে একটি কমিশন নিয়ে থাকে।

সাধারণভাবে বলতে গেলে, রিচের জন্য AdSense ব্যবহার করার সময় পাব্লিশাররা সাধারণত ৬৮% বা ৫১% পান। ‘নিশ’ এর উপর বেইজ করে, প্রকাশকদের জন্য প্রতি ক্লিকে কমিশন $০.২০ থেকে $১৫ পর্যন্ত যেতে পারে ( গড়ে $৩ প্রতি ক্লিকে) ।

চলুন দেখে নেই, ২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এডসেন্স থেকে আয়ে সবচেয়ে লাভজনক নিশ গুলোর মধ্যে কি কি রয়েছে :

অ্যাডসেন্স আয়ের সেরা নিশ -সেরা CPC

সেরা অ্যাডসেন্স নিশ  ——    ক্লিক প্রতি খরচ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে)

বীমা ( Insurance  )

$ ১৬

অনলাইন শিক্ষা  (Online Education )

$ ১২.০৮

বিপণন ও বিজ্ঞাপন ( Marketing and Advertising  )

$ ৬.৪৫

অ্যাটর্নি

$ ৬.১১

ইন্টারনেট এবং টেলিযোগাযোগ

$ ৪.৯৬ 

সূত্র: সেমরাশ, আহরেফ।



অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের ৯ টি টিপস (এবং কি করা উচিত নয়!)



AdSense এর মাধ্যমে একটি ‘স্টিডি আর্নিং’ এর জন্য কিছু কৌশল এবং নিয়ম অনুসরণ করা প্রয়োজন। আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন বা ইতিমধ্যে একটি অ্যাকাউন্ট আছে এবং আপনার AdSense বিজ্ঞাপনের আয় বাড়াতে চাচ্ছেন, AdSense এর মাধ্যমে আপনার সাইট মনিটাইজেশন করার সময় আপনার কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয় তা এখানে দেওয়া হল:



‘গুগল পলিসিস’ গুলি অনুসরণ করুন: 

‘গুগল পাবলিশের পলিসিস’ গুলি, AdSense প্রোগ্রাম পলিসিস গুলির পাশাপাশি ওয়েবমাস্টার পলিসিস গুলি পড়ুন এবং অনুসরণ করুন ৷

নিজের বিজ্ঞাপনে নিজে ক্লিক করবেন না

ক্লিকের জন্য অর্থ প্রদান করবেন না: ক্লিকের জন্য প্রণোদনা দেওয়া, ‘পে পার ক্লিক’ (PPC) স্পেস কেনা বা ক্লিকের জন্য রিওয়ার্ড দেওয়ার অন্য কোনো উপায় Google নীতির বিরুদ্ধে বলে তা এড়িয়ে চলুন।

মূল্যবান ‘কনটেন্ট’ প্রদান করুন: আপনার টার্গেট শ্রোতারা পড়তে চায় এমন বিষয়বস্তু প্রদান করা, যা শেষমেশ তাদের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করতে এবং অর্থোপার্জনের দিকে নিয়ে যায়।

‘অর্গানিক ট্র্যাফিক’ তৈরি করুন:  SEO (এসইও) অপ্টিমাইজ করুন,
‘অর্গানিক ট্র্যাফিক’ কে আকর্ষণ করার জন্য সামগ্রীটি অপ্টিমাইজ করুন।

আপনার সাইট ‘রেস্পন্সিভ’ – তা নিশ্চিত করুন : ট্রাফিক এর সোর্স খুঁজে সে অনুযায়ী আপনার সাইট টি ‘রেস্পন্সিভ’ করুন।

বিজ্ঞাপনের লেআউট এন্ড ফরমেট অপ্টিমাইজ করুন : ‘ফোল্ড  টেস্ট এড টাইপ্স’ এর উপরে বিজ্ঞাপন রাখুন, লোগোর পাশে একটি লিডারবোর্ড বিজ্ঞাপন রাখুন।

• ‘ইন-কন্টেন্ট এড্স’ ব্যবহার করুন: কন্টেন্ট এর সাথে মিশ্রিত (ব্লেনডেড ) নেটিভ এড্স গুলি দেখা এবং ক্লিক করার সুযোগ বেশি থাকায় ‘ইন-কন্টেন্ট এড্স’ ব্যবহার করুন ৷

ওয়েবসাইটের সামগ্রিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করুন, বিশ্লেষণ করুন, পরিমার্জন করুন: আপনার ফলাফল পরীক্ষা করুন এবং সেই অনুযায়ী আপনার কৌশল পরিবর্তন করুন।



আরো পড়ুন : বয়স কম দেখানোর বিস্ময়কর ১০ টি উপায়



‘গুগল এড নেটওয়ার্কস’ ছাড়া অন্যান্য আয়ের বিকল্প!


‘এড নেটওয়ার্কস’ বিশেষ করে AdSense, একটি ‘দুর্দান্ত অপসন’ কারণ আপনি একজন নতুন ব্লগার বা ওয়েবসাইটের মালিক হিসাবে ‘এড নেটওয়ার্কস’-এ যোগদান করতে পারেন এবং এগুলো ব্যবহার করাও সহজ৷ কিন্তু এটি ই আপনার ওয়েবসাইট থেকে অর্থ উপার্জন করার একমাত্র উপায় নয়। আসলে, আপনার সাইটের ট্রাফিক বাড়ার সাথে সাথে অন্যান্য মনিটাইজেশন বিকল্পগুলি আরও ভাল হতে পারে।


এখানে মনিটাইজেশন এর কিছু অন্যান্য ধারণা রয়েছে যা আপনি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কগুলির পরিবর্তে বা তার সাথে ব্যবহার করতে পারেন ৷


অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: অ্যাড নেটওয়ার্কের মতো, অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামগুলি সাধারণত বিনামূল্যে যোগদানের জন্য সহজ ।


আপনার নিজের পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করুন: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অন্য কারো পণ্য বা পরিষেবা প্রচারের বিপরীতে আপনার নিজের পণ্য বা পরিষেবা তৈরি করে আপনি উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারেন । এটি তথ্য পণ্য বা অনলাইন কোর্সের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কার্যকর যা তৈরি এবং বিক্রি করা সস্তা। অন্যান্য বিকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে ই-বুক এবং ফ্রিল্যান্স পরিষেবা।


কোচিং বা পরামর্শ: কোনো বিষয়ের একজন বিশেষজ্ঞ হিসাবে আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে দেওয়া তথ্যের বাইরে লোকেদের সাহায্য করার জন্য একটি ভাল সুযোগ নিতে পারেন। কোচিং বা পরামর্শের মাধ্যমে আরও গভীরভাবে সহায়তা দিতে পারেন।


স্পনসর: যখন আপনার শ্রোতাদের উপর আপনার ভাল পরিমাণে ট্র্যাফিক এবং প্রভাব থাকে, তখন অন্যান্য কোম্পানিগুলি আপনার ওয়েবসাইটকে স্পনসর করার জন্য অর্থ প্রদান করবে। তারা আপনার সম্পূর্ণ সাইট বা একটি একক পেইজ বা পোস্ট স্পনসর করতে পারে।



দেখতে পাচ্ছেন, ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে আয় করার অনেক উপায় রয়েছে। কিন্তু অনেকেরই প্রয়োজন যে আপনি অর্থ উপার্জন করার আগে আপনার কাছে উল্লেখযোগ্য ট্রাফিক আছে। এখানে অ্যাডসেন্স একটি ভাল মনিটাইজেশন অপশন।

আপনাকে কিছু তৈরি করতে হবে না, আপনি যেদিন আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট শুরু করবেন সেদিন যোগ দিতে পারেন, এটি বিনামূল্যে এবং আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন কোড যোগ করে সহজ ভাবে স্টার্ট করা সম্ভব। 



Google বিজ্ঞাপনের ‘মাইন্ড-ব্লোয়িং স্ট্যাটস’



◘ বিশ্বে ৩৮.৮  মিলিয়ন ওয়েবসাইট অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে (গুগল)

◘ Google Ads হল বিশ্বে সার্চ বিজ্ঞাপনের সবচেয়ে বড় প্রদানকারী

◘ অনলাইন বিজ্ঞাপন ৮০% পর্যন্ত ব্র্যান্ড সচেতনতা বাড়ায়

◘ ৭৫% বিপণনকারী Google বিজ্ঞাপন এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন দেয়



গুগল অ্যাডসেন্সে কোন বিজ্ঞাপনের আকার সবচেয়ে জনপ্রিয়?

  বিজ্ঞাপনের আকার      প্রকাশকদের %
     ১৬০ x ৬০০  ১১ 
৪৬৮  x ৬০ ১১ 
৩৩৬ x  ২৮০ ১৮ 
৩০০ x ২৫০ ২৪ 
৭২৮ x ৯০ ৩৬

‘গুগল অ্যাডসেন্স’ এর সুবিধা এবং অসুবিধা


নতুন ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য, Google AdSense প্রোগ্রাম হতে পারে আয়ের দ্রুততম উপায়গুলির মধ্যে একটি, যে কারণে এটি এত জনপ্রিয়।

এখন যেহেতু আপনি AdSense সম্পর্কে প্রাথমিক বিষয়গুলি জানেন, আসুন এর সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি তালাশ করি৷


সুবিধা / Pros 

⦿ এটা বিনামূল্যে

⦿ আপনার বিজ্ঞাপন আপনাকেই তৈরি করতে হবে না, Google এটি আপনার জন্য নিজেই করে থাকে ।

⦿ আপনি একটি একক অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিক সাইট মনিটিজিং করতে পারেন।

⦿ এটি টেকনিক্যালি প্যাসিভ ইনকাম, তাই তত্ত্বগতভাবে আপনাকে খুব বেশি ইফোর্ট দিতে হবে না।


অসুবিধা / Cons

⦿ অর্থ তুলতে আপনাকে কমপক্ষে $ ১০০ উপার্জন করতে হবে।

⦿ আপনি যদি AdSense ব্যবহার করেন তবে অন্য বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবেন না।

⦿ ‘পলিসি ভায়োলেশন্স’ এর জন্য আপনার অ্যাকাউন্ট ব্লক হতে পারে ।

⦿ একটি ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে অনেক ট্রাফিক প্রয়োজন। 

⦿ অনেক বেশি বিজ্ঞাপন আপনার দর্শকদের ‘বিরক্ত’ করতে পারে।

গুগল অ্যাডসেন্স কি?

গুগল অ্যাডসেন্স হল গুগলের একটি নিজস্ব বিজ্ঞাপন প্রোগ্রাম।

ব্লগার এবং প্রকাশকরা তাদের পেজ এবং নিবন্ধগুলিতে বিজ্ঞাপন স্থাপন করে তাদের ওয়েবসাইট থেকে অর্থ উপার্জন করতে অ্যাডসেন্স ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যাডসেন্স হল সবচেয়ে জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন প্রোগ্রামগুলির মধ্যে একটি, যা গুগল নিজেই চালাচ্ছে, এবং এটি নতুন বা নতুন ব্লগার এবং ওয়েবসাইট মালিকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।

আমি কিভাবে গুগল এডসেন্স এর সাথে যোগাযোগ করব?

গুগল অ্যাডসেন্সের সাথে আপনি যদি যোগাযোগ করতে চান তাহলে তাদের ইমেল করে বা তাদের সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বার্তা রেখে খুব সহজেই তা করতে পারেন।

অ্যাডসেন্সের জন্য আমার কতগুলি পেজভিউ দরকার?

গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য কোনো পেজভিউ যোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা নেই। সহজ কথায়, যোগ্য হওয়ার জন্য আপনার নির্দিষ্ট সংখ্যক পেজভিউর কোনো প্রয়োজন নেই। এই কারণেই গুগল অ্যাডসেন্স নতুন ব্লগ এবং ওয়েবসাইটের জন্য দুর্দান্ত।

অ্যাডসেন্স অনুমোদনের জন্য প্রধান শর্ত গুলো কি কি ?

আপনার ইউনিক এবং আকর্ষণীয় কন্টেন্ট থাকতে হবে।
বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে।
আপনার ওয়েবসাইটকে Google এর নীতি গুলো মেনে চলতে হবে।

অ্যাডসেন্সের জন্য মিনিমাম কতগুলি কন্টেন্ট দরকার?

অ্যাডসেন্সের জন্য আপনার কতগুলি কন্টেন্ট প্রয়োজন তার জন্য গুগল কোনও কঠোর নিয়ম উল্লেখ করে নি। আমরা কিছু পয়েন্টার দিতে পারি যাতে আপনার এডসেন্স গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় এবং আপনার ওয়েবসাইটের সামগ্রিক গুণমান বৃদ্ধি পায়।

যেকোন নতুন ব্লগের জন্য টার্গেট করার জন্য শুরুতে ৩০ টি কন্টেন্ট হল ন্যূনতম বেসলাইন ।

অ্যাডসেন্সের জন্য কন্টেন্ট গুলো কত শব্দের হওয়া উচিত?

আবার, Google Adsense-এর জন্য অনুমোদন পেতে আপনার কন্টেন্ট গুলো কত শব্দের হতে হবে তার জন্য কোন কঠিন শর্ত নেই। কিন্তু চেষ্টা করতে হবে প্রবন্ধ বা পোস্ট গুলো যেন অন্তত ৫০০ শব্দের বা দৈর্ঘ্যের হয়।

অ্যাডসেন্স প্রতি ১,০০০ পেজ ভিউ এর জন্য কত টাকা দেয়?

প্রতি ১,০০০ পেজভিউতে অ্যাডসেন্স থেকে আয় নিশ, রিজিওন, টপিক এবং আরও অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। কমে, প্রকাশকরা প্রতি ১,০০০ পেজভিউতে $১-$২ এর মতো আয় করতে পারেন। বেশিতে, এটি $৩০ বা তার বেশি পর্যন্ত যেতে পারে।

অ্যাডসেন্স দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে আপনার কত ট্রাফিক দরকার?

মাসে মাত্র কয়েকশ ভিজিটর দিয়েই আপনি অ্যাডসেন্স থেকে উপার্জন শুরু করতে পারেন।কিন্তু রিয়েল মানি আয় করতে কতটা ট্র্যাফিক দরকার? মাসে ১,০০০ ডলার বা তার বেশি আয়ে? অ্যাডসেন্স ইনকাম ক্যালকুলেটরের উপর ভিত্তি করে, বেশিরভাগ নিশে মাসে ন্যূনতম $১,০০০ উপার্জন করতে প্রায় ১০০,০০০ ট্র্যাফিক প্রতি মাসে প্রয়োজন হবে।

অ্যাডসেন্স দিয়ে $১০০,০০০ করতে আপনার কতটা ট্রাফিক দরকার?

Adsense দিয়ে বছরে $১০০,০০০ উপার্জন করতে, আপনাকে প্রতিদিন $ ২৭৪ বা প্রতি মাসে $ ৮,৩৩৪ করতে হবে। আপনার প্রতি মাসে ন্যূনতম ৬০০,০০০ ভিজিটরের ব্লগ ট্র্যাফিক প্রয়োজন, তবে সম্ভবত আরও বেশিও হতে পারে।

অ্যাডসেন্স এর পাশাপাশি কিছু ভালো অল্টারনেটিভ বা বিকল্প এড নেটওয়ার্ক কি?

EZOIC, MEDIAVINE, ADTHRIVE, মনুমেট্রিক ইত্যাদি

নতুন ব্লগারদের জন্য অ্যাডসেন্স ছাড়া সেরা বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক কি?

আমাদের মতে, অ্যাডসেন্স ছাড়াও নতুন ব্লগারদের জন্য সেরা বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক হল ইজোইক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *