কার নির্দেশে লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর হামলা ?

হিজবুল্লাহর হামলার মুখে লেবানন সীমান্তের ২৮টি গ্রাম থেকে লেবানন বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের সীমান্তে লেবাননের মিলিশিয়া গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে ইসরায়েল।

লেবানন সীমান্তবর্তী ইসরায়েলি গ্রাম শতুলায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় হিজবুল্লাহ। এক বেসামরিক ব্যক্তি এতে নিহত হয়েছেন বলে গণমাধ্যম জানিয়েছে।

হিজবুল্লাহর আল মানার টেলিভিশন জানায়, ইসরায়েলি গ্রাম শাতুলা অভিমুখে দক্ষিণ লেবানন থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়, যা একটি নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র ছিল।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রধান মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, “দক্ষিণে আমাদের যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে হিজবুল্লাহ কয়েকটি গোলা হামলা চালিয়েছে, ইরানের নির্দেশে এবং তাদের সমর্থন নিয়ে তারা হামলা চালাচ্ছে।”

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, উত্তর সীমান্তে হিজবুল্লাহর হামলার মুখে লেবানন সীমান্তের ২ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা ২৮টি গ্রাম থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছে তারা।

এর আগে অ্যাডমিরাল হাগারি জানিয়েছিলেন, ইসরায়েল দুই বা ততোধিক যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত। ইরানেই সমর্থনপুষ্ট হিজবুল্লাহ লেবানন সীমান্তে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

তিনি জানান, নয় দিন আগে গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলায় অন্তত ২৮৯ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। গাজায় হামাসের হাতে ১৫৫ জন ইসরায়েলি বন্দি আছেন বলে তাদের পরিবারগুলোকে অবহিত করা হয়েছে।

২০০৬ সালে লেবাননের গেরিলা দল হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের মাসব্যাপী যুদ্ধ হয়েছিল। ওই যুদ্ধে হিবজুল্লাহকে ইরান ব্যাপক সামরিক সহায়তা দিয়েছিল।

ইরান ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেছে, তারা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে আঞ্চলিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য পক্ষগুলো এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত বলেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উপকূলে থাকা তাদের বিমানবাহী রণতরী বহরগুলোতে যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান আছে। ইসরায়েলের ওই অঞ্চলে আঞ্চলিক সংঘাত ছড়িয়ে পড়া থামাতে যেকোনো পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “যুদ্ধ যদি ছড়িয়ে পড়ে তাতে যুক্তরাষ্ট্রেরও ব্যাপক ক্ষতি হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *