কিভাবে ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করা যায়: Successful Strategies to Make Money Online in 2023!

“আচ্ছা, কিভাবে ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করা যায়” – আপনার মনে কি এই প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে?

বিশ্ব যখন ভার্চুয়াল হয়ে উঠছে, অনলাইনে কিভাবে অর্থ উপার্জন করতে পারেন এমন উপায়ের সংখ্যাও বাড়ছে। ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করার সুবিধা, আরামদায়ক পরিবেশ সহ অনেক সুবিধা প্রদান করে।

যদি হুট করে প্রশ্ন করেন, “ভাই তুমি তো অনেক জায়গায় কাজ করো, একটু বলো তো ঘরে বসেই কোনো কাজ-টাজ করা যায় কিনা? পড়াশোনার ফাঁকে টুকটাক ইনকাম করতে পারলে ভালো হতো।” ভাবলাম, আপনার মতো এমন অসংখ্য মানুষ আছেন যারা অনলাইন ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় খুঁজছেন। অনেকেই হয়তো আইডিয়াল পথটা বেছে নিতে পারছেন না, অনেকেই আবার বুঝতে পারছেন না কোনটা দিয়ে শুরু করবেন। চলুন তাহলে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জেনে আসি!

ফ্রিল্যান্সিং : অনলাইন ইনকাম এর জনপ্রিয় উপায় !

বর্তমানে তরুণ কিংবা বয়স্ক , সবার জন্যই ফ্রিল্যান্সিং অনলাইনে ইনকাম করার একটি জনপ্রিয় উপায় -গুলোর মধ্যে একটি। এটি একটি মুক্ত পেশা যার মাধ্যমে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন ইনকাম করতে চাইলে বিভিন্ন জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে যেমন: Fiverr, Peopleperhour, Freelancer, Upwork ইত্যাদিতে আপনার পোর্টফলিও সাজিয়ে ফেলুন এবং কোনো স্কিল শিখে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কাজের জন্য অ্যাপ্লাই করুন। এরপর বিভিন্ন দেশের বায়ার তার চাহিদা এবং আপনার দক্ষতা যাচাই করে আপনাকে অবশ্যই কাজ দিবে।

আর আপনাদের মধ্যে যারা ঘরে বসেই ধাপে ধাপে ফ্রিল্যান্সিং করা শিখতে চান, তাদের জন্য ইউডেমি সহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে পাবেন ফ্রিল্যান্সিং” কোর্স। এই কোর্স গুলোর মাধ্যমে আপনি এন্ট্রি লেভেল ফ্রিল্যান্সিং থেকে শুরু করে এডভান্স লেভেল এর ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। এবং অবশেষে একজন শীর্ষ ফ্রিল্যান্সার হয়ে ওঠার ধাপগুলোর সম্পূর্ণ গাইডলাইন পাবেন।

ফ্রিল্যান্সিং থেকে কত টাকা আয় করা যাবে এর কোন নির্দিষ্ট পরিসীমা নেই। এখান থেকে মাসে কেউ ১০০ ডলার আয় করে থাকে কেউ আবার এখান থেকে মাসে ১০০০ ডলার আয় করে থাকে।

বর্তমানে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং অনলাইন কাজগুলো হলো:

কনটেন্ট রাইটিং ও ব্লগিং: অনলাইনে টাকা ইনকাম


আপনি লেখালেখিতে পারদর্শী? তাহলে পিছিয়ে কেন ? অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে লেখালেখির মাধ্যমে আপনার জন্য অনলাইনে ইনকাম করার একটি ভালো উপায় হতে পারে। নিজেই ডোমেইন হোস্টিং কিনে ব্লগ লিখে আয় করতে চাইলে ভালো করে রিসার্চ করে ব্লগ সাইট তৈরি করে লিখতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেস ও টাম্বলার প্ল্যাটফর্মে বিনামূল্যে ব্লগ লেখা যায়, তা কি জানেন? ।

বর্তমানে আপওয়ার্ক, ফাইভারসহ বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে কনটেন্ট রাইটার এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এই প্লাটফর্মগুলোতে কাজ পাওয়াটা ইংরেজি লেখায় দক্ষতা থাকলে আপনার জন্য অনেক ইজি হয়ে যাবে। কাজের ধরণ এর ভিত্তিতে প্রতি ১০০০ ওয়ার্ডের জন্য কনটেন্ট রাইটাররা $১০ থেকে $১০০ পর্যন্ত চার্জ করে থাকে।

এছাড়াও অনলাইন নিউজ পোর্টালে লেখালিখি করে অনলাইনে টাকা আয় করতে পারেন আপনি ।

ইউটিউবিং : অনলাইনে ইনকাম করার উপায়


ইউটিউব থেকেও বর্তমানে সহজে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। অনলাইন ইনকাম করার জন্য আপনার চ্যানেলে মিনিমাম এক হাজার সাবস্ত্রাইবার থাকতে হবে। সাবস্ক্রাইবার প্রতি যদিও আপনি কোনো টাকা পাবেন না। তবে যত বেশি এই সাবস্ক্রাইবার আপনার থাকবে রোজগারের সম্ভাবনা তত বেশি হবে। চাইলে কোনো ব্র্যান্ডের সঙ্গেও আপনি কোলাবোরেট করে ইনকাম করতে পারবেন।

ইনকাম শুরুর জন্য এক হাজার সাবস্ক্রাইবারের সঙ্গে লাস্ট ১২ মাসে প্রয়োজন হবে চার হাজার এর মতন ঘণ্টা ভিউ। মজার ব্যাপার, যত বেশি ভিউ পাবেন আপনার রোজগারের সম্ভাবনা ততই বাড়তে থাকবে। তবে ভিডিওর উপরে দেখানো লিঙ্কে ক্লিক করেই কেবল কেউ সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপন দেখলে ইউটিউব থেকে রোজগার হবে!

পেইড সার্ভে: অনলাইনে ইনকাম করার উপায়


জনপ্রিয় এমন অনেক ধরনের পেইড সার্ভে বর্তমানে আছে, যেগুলো করে আপনি অনলাইন ইনকাম (Online Income) করতে পারবেন সহজেই। মজার বিষয়, কোনো কোম্পানি থেকে তাদের প্রোডাক্ট নিয়ে মানুষের ফিডব্যাক কী, প্রতিক্রিয়া কি, নতুন প্রোডাক্টে কী কী থাকা উচিত, এসব জানার জন্য অনলাইন সার্ভে করা হয়।

এই কাজের জন্য আপনার শুধুমাত্র একটি মোবাইল বা কম্পিউটার হলেই চলবে। কিন্তু একটি পেইড আইপি অবস্যই জরুরি, ফ্রি ভিপিএন দিয়ে বেশি দিন কাজ করতে পারবেন না।
অনলাইন সার্ভে করে ইনকাম করার ওয়েবসাইট:

  • Viewpoint Panel
  • Opinion Now
  • ySense
  • neobux
  • Toluna
  • Swagbucks
  • Onepoll
  • Your Surveys
  • I-say
  • প্রিজিরেবেল

ওয়েবসাইট তৈরি : অনলাইনে টাকা আয়

যদি আপনি লিখতে ভালোবাসেন এবং দরকারী বা অনুপ্রেরণাদায়ক কিছু বলতে চান তবে একটি ব্লগ শুরু করার কথা বিবেচনা করুন। ব্লগ হল একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি নিয়মিত আপনার পাঠকদের সাথে আপনার ধারণা বা দক্ষতা শেয়ার করেন।

আপনার চিন্তা শেয়ার করা শুরু করার আগে, আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। আপনি এটি তৈরি করার জন্য কাউকে নিয়োগ করতে পারেন বা এটি নিজেও করতে পারেন। SquareSpace-এর মতো ওয়েবসাইট নির্মাতারা পূর্বের অভিজ্ঞতা ছাড়াই আপনার নিজের মতো একটি ওয়েবসাইটকে একত্রিত করা সত্যিই সহজ করে তোলে।

একবার আপনার সাইট তৈরি হয়ে গেলে, পাঠক এবং গ্রাহকদের আকর্ষণ করার জন্য আপনার কাজ হবে ধারাবাহিকভাবে ভাল পোস্ট লেখা এবং আপনার ব্লগের প্রচার করা।

আপনি যদি আপনার ব্লগকে মানিটাইজেশন করতে চান তবে আপনার একটি ভালো সংখ্যক ভিজিটরস প্রয়োজন৷ তারপরে, আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (পণ্য সুপারিশের মাধ্যমে আয় উপার্জন) এবং বিজ্ঞাপনের মতো পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনি আপনার নিজস্ব পণ্য বা পরিষেবা তৈরি করতে পারেন এবং আপনার ওয়েবসাইটে বিক্রি করতে পারেন।

আজকাল নানান কাজে মানুষের ওয়েবসাইটের দরকার হয়। তাই আপনি যদি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন তাহলে এটি আপনার জন্য হতে পারে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়। চাইলে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অন্যের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি অনলাইন ইনকাম করতে পারেন, অথবা নিজে ওয়েবসাইট তৈরি করেও তা বিক্রি করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার সাইটে যদি ভালো ট্রাফিক থাকে, তাহলে ওয়েবসাইটের দামও বেশি পাবেন।

অর্থাৎ ওয়েবসাইটে গুগল এডস ব্যবহার করে আপনি অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। একটি সাধারণ ওয়েবসাইট বানাতে বেশি কিছু প্রয়োজন হয় না। শুধু ডোমেইন এবং হোস্টিং হলেই ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব। এরজন্য প্রথমে আপনাকে একটি হোস্টিং কিনতে হবে এবং একটি ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করে তারপর ওয়েবসাইট বানাতে হবে।

গুগল এডসেন্স থেকে অনলাইন ইনকাম


ওয়েবসাইট বা ইউটিউব থেকে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে হলে প্রথমেই যে বিষয়টি চলে আসে সেটি হলো গুগল এডসেন্স ।

আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল থাকে, তখন সেই ইউটিউব চ্যানেল অথবা ব্লগের বিভিন্ন জায়গায় গুগল কর্তৃক এডসেন্সের বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবে। আপনার সাইটের ভিজিটররা সেই বিজ্ঞাপনের ওপর ক্লিক করলে বিজ্ঞাপন থেকে আপনি একটি অংশ আয় করতে পারবেন।

গুগল এডসেন্স থেকে প্রতি ক্লিকে কত ইনকাম হয় এটাও নির্দিষ্ট নয়। তবে বিভিন্ন দেশ ভেদে প্রতি ক্লিক এর মূল্য $০.০১ ডলার থেকে শুরু করে $১০০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটা নির্ভর করে আপনার কনটেন্ট কোয়ালিটি, কনটেন্টের ধরন এবং কান্ট্রি অনুযায়ী।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন ইনকাম


ওয়েবসাইট তৈরি করে অনলাইন ইনকামের (Online Income) আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং -এর মাধ্যমে আপনি মূলত একজন থার্ড-পার্টি হিসেবে আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন প্রোডক্টের প্রমোশন করে তা বিক্রি করার চেষ্টা করবেন। কোনো কোম্পানির প্রোডাক্ট সেল করে দিলে সেই কোম্পানির পণ্য বিক্রয়ের উপর সাধারণত ২% থেকে ৭০% পর্যন্ত কমিশন প্রদান করে থাকে।

আপনার যদি ভাল মানের একটি ওয়েবসাইট থাকে এবং সেটিতে ভালো ভিজিটর আসে, তাহলে আপনি চাইলেই যে কোন অ্যাফিলিয়েট লিংক বসিয়ে প্রোডাক্ট বিক্রি করে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।

আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি অনলাইনে ইনকাম করার উপায়। এই অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইটগুলো আমাজনের বিভিন্ন পণ্যের ভালো দিকগুলো তুলে ধরে তা বিক্রি করার চেষ্টা করে থাকে। পণ্য বিক্রি হলেই মিলে কমিশন!

আপনার প্ল্যাটফর্মের ধরন যেমনই হোক না কেনো, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করা সম্ভব। ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক প্রোফাইল, এমনকি ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমেও রেফারেল বা অ্যাফিলিয়েট ইনকাম করা সম্ভব।

ওয়েবসাইট ও অ্যাপ টেস্টার হয়ে অনলাইনে ইনকাম


একটি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ কেমন কাজ করছে, ভিজিটররা সঠিক সেবাটা পাচ্ছেন নাকি তা দেখার জন্য তৃতীয় পক্ষ হিসেবে একজন ওয়েবসাইট ও অ্যাপ টেস্টার কাজ করেন। আর এই ওয়েবসাইট ও অ্যাপ টেস্টিং করেও অনেকে অনলাইন ইনকাম করে থাকেন।

অনেক ওয়েবসাইট ভিজিট করার সময় দেখা যায় লোড হতে সময় লাগছে, কিংবা অ্যাপটা ক্র‍্যাশ করছে। এসব ঘটনা হরহামেশাই ঘটে থাকে, যার কারণে টেস্টারদের চাহিদা অনেক। একজন ওয়েবসাইট বা অ্যাপ টেস্টার হিসেবে আপনার কাজ হবে এই দুটো যাতে ইউজারদের কাছে সহজলভ্য হয় সেদিকে খেয়াল রাখা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব অনলাইন কাজ করে ঘন্টায় ১০-২০ ডলার আয় করা যায়।

যেসব জায়গায় ওয়েবসাইট ও অ্যাপ টেস্টার হিসেবে কাজ করতে পারবেন:


ওয়েবসাইট ও অ্যাপ টেস্টার হিসেবে কাজ করে টাকা ইনকাম করার কয়েকটি ওয়েবসাইট:

  • UserTesting
  • Enroll
  • Ferpection
  • User Interviews
  • PingPong
  • TryMyUI
  • Userlytics
  • UberTesters


ছবি ও ফুটেজ বিক্রি করে অনলাইনে ইনকাম


আপনি যদি আপনার তোলা কোনো ছবি অনলাইনে বিক্রি করতে চান তাহলে তার জন্য রয়েছে নানান ইমেজ শেয়ারিং বা স্টক ইমেজ সাইট। এই সাইটগুলোতে আপনি আপনার ছবি বিক্রি করার জন্য আপলোড দিতে পারবেন। তবে ছবিগুলো হতে হবে ভালো মানের, হাই রেজুলেশনের।

এসব ওয়েবসাইটে কাজ করতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে ওয়েবসাইটে একাউন্ট খুলে আপনার তোলা ছবি আপলোড করতে হবে। তারপর আপনার ছবির কোয়ালিটি, রেজুলেশন ইত্যাদি বিষয় যাচাই-বাছাই করে আপনার প্রোফাইলটি ঐ ওয়েবসাইটে অনুমোদন দেওয়া হবে।

প্রোফাইল অনুমোদন পাওয়ার পর আপনি সেখানে আপনার তোলা ছবি আপলোড করতে পারবেন। তবে কর্তৃপক্ষ প্রথমে আপনার আপলোড করা প্রতিটি ছবিকে যাচাই করবে, তারপরেই ছবিগুলো আপলোড হবে এবং সবাই আপনার ছবি দেখতে পারবে।

ছবির মাধ্যমে কয়েকটি টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট:

  • Shutterstock
  • Fotolia
  • GettyImages
  • iStock
  • Dreamstime


অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে যাদের বিভিন্ন কারণে নানান ছবির দরকার হয়। তখন তারা এসব মার্কেটপ্লেস থেকে ছবি কিনে নিয়ে তাদের কাজে ব্যবহার করে।

সাধারণত এই ওয়েবসাইটগুলো প্রতি সেলের জন্য ফটোগ্রাফারদের ৩০-৭০% কমিশন দিয়ে থাকে।

ওয়েবসাইট বিক্রি করুন

আপনার নামে নিবন্ধিত একটি পছন্দসই ডোমেন সহ ওয়েবসাইট থাকলে ফ্লিপিং ওয়েবসাইট থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। প্রায়শই এ ব্যবসায় সবচেয়ে বড় বাধা হল ওয়েবসাইট এর মূল্য কত তা খুঁজে বের করা এবং আগ্রহী ক্রেতাদের খুঁজে বের করা। ওয়েবসাইটগুলিকে তাদের বার্ষিক মুনাফার দুই থেকে তিনগুণ মূল্য ধরে বলা হয়, যদিও এটি যথেষ্ট পরিবর্তিত হতে পারে। এই ধরনের লেনদেনে বিশেষজ্ঞ একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস খুঁজুন। Flippa তে এভাবে ওয়েবসাইট কেনা বেচা হয়।

কিন্ডলে ইবুকের মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম


আপনার যদি লেখালেখি করার ইচ্ছে বা অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে আপনি অ্যামাজন কিন্ডলের সাহায্য লাখ লাখ মানুষের কাছে আপনার লেখা প্রকাশ করতে পারবেন।

অ্যামাজন Kindle Direct Publishing এর সাহায্যে আপনি যেকোনো বই ডিজিটালি লিখে খুব সহজেই তা প্রকাশ করতে পারবেন। মূলত একটি বই অ্যামাজনের গ্লোবাল নেটওয়ার্ক ও অ্যামাজনের ই-কমার্সের মাধ্যমে ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অনলাইনে প্রচুর মানুষের কাছে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা যায়৷

আপনি নিজে Amazon KDP- এর সাহায্যে নানান ক্যাটাগরির বই প্রকাশ করতে পারবেন। আর বইয়ের দামটাও ঠিক করবেন আপনি নিজেই। বই বিক্রির টাকা আপনার পেপ্যাল ​​অথবা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে আসবে।

ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হয়ে অনলাইনে টাকা আয়


আপনি কি শুদ্ধ ভাষায় সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলতে পারেন? তাহলে নানান জায়গায় ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করে খুব সহজেই অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অডিওবুক, ভিডিও কন্টেন্ট, অ্যানিমেশন, অ্যাডভার্টাইজমেন্ট, প্রোডাক্ট ভিডিও, অডিও গাইড ইত্যাদি জায়গায় ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করে অনলাইনে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। লোকাল মার্কেটপ্লেসে আপনি প্রতি মিনিটের জন্য ৩০-৬০ টাকা পেতে পারেন৷ আর ফাইভারে কাজ করলে অর্থটা ৫ থেকে ৫০ ডলার অবধি যেতে পারে।

ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে সুন্দর স্বর ও শুদ্ধ উচ্চারণ ছাড়া প্রয়োজন রেকর্ডিংয়ের জন্য একটি ভালো মানের মাইক্রোফোন। এরপর মোবাইল দিয়ে রেকর্ডিংটা এডিট করে বায়ারকে পাঠিয়ে দিলেই হলো।

ডোমেইন নেম বেচা-কেনা: মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম


বর্তমানে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার আরো একটি জনপ্রিয় উপায় হলো ডোমেইন ফ্লিপিং। অর্থাৎ একটি ডোমেইন নেম কম দামে কিনে সেটিকে বেশি দামে বিক্রি করা।

প্রথমে আপনাকে ডোমেইন নেম সম্পর্কে ভালোমত গবেষণা করতে হবে। কোন ধরনের ডোমেইন নেম-এর চাহিদা ও দাম বেশি সেগুলো জেনে নিতে হবে। এরপর আপনাকে একটি ডোমেইন নেম কিনে খুব আকর্ষণীয় এবং অর্থবহ কিছু নামের ডোমেইন কিনে রাখতে হবে। তবে একবার এক্সপায়ারড হয়ে যাওয়া ডোমেইন নেম কেনাই বেশি লাভজনক।

আপনি চাইলে ডোমেইন নেমটি দ্রুত বিক্রি করে ফেলতে পারেন, আবার অনেকদিন এটাকে নিজের কাছে রাখতেও পারেন।

ডোমেইন বেচা-কেনার মার্কেটপ্লেস:

GoDaddy
Freemarket
Namecheap auction
Sedo
Flippa

অনলাইন টিউটর হয়ে ইনকাম


আপনি যদি কোনো বিষয়ে গভীর নলেজ নিয়ে পড়াতে পারদর্শি হন, তবে অনলাইনে সে বিষয়ে শিক্ষকতা করতে পারেন। অনলাইন টিউটরদের এখন অনেক চাহিদা এবং এর মাধ্যমে যেকোনো শিক্ষার্থীদের আপনি শিক্ষা দিতে পারবেন। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনলাইন টিউশনির সুযোগ বর্তমানে রয়েছে, যেখানে সুবিধামতো সময়ে আপনি পড়াতে পারেন এবং ইনকাম করতে পারেন । আবার চাইলে একটা কোর্স নিজেই চালু করে ফেলতে পারেন।

ডেটা এন্ট্রি ও লিড জেনারেশন : অনলাইন ইনকাম


ডাটাগুলোকে একটি কম্পিউটারের মাধ্যমে কিছু সফটওয়্যারের সাহায্যে যোগ বা আপডেট করা, বিভিন্ন ডেটা স্রেপ করা, টার্গেটেড লিড কালেক্ট করাই হলো ডেটা এন্ট্রি। যাদের ভালো ওয়েব রিসার্চ করার দক্ষতা বা দ্রুতগতির টাইপিং দক্ষতা আছে, তারা এ ধরনের কাজ করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ইন্টারনেটের এরকম অনেক ফ্রিল্যান্সিং সাইট রয়েছে (Fiverr, Freelancer, Guru) যেখানে গিয়ে আপনারা ডাটা এন্ট্রির সাথে জড়িত কাজগুলো পাবেন। তবে এসব কাজে উপার্জন সাধারণত অন্যান্য কাজের তুলনায় কম হয়।

ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট: হয়ে অনলাইন ইনকাম করার উপায়


আপনার দক্ষতার ভিত্তিতে ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দেয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে সোসাল মিডিয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট, ফোন কল, ই-মেইল যোগাযোগ, ইন্টারনাল রিসার্চ, ডেটা এন্ট্রি, এডিটিং, রাইটিং, ব্লগ, গ্রাফিকস, টেক সাপোর্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবস্থাপনার মতো কাজ থাকে।

24/7 Virtual Assistant, Assistant Match, Freelancer.com, People Per Hour, Upwork এর মতো টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলোতে ভার্চ্যুয়াল সহকারী হয়ে অনলাইন ইনকাম করার সুযোগ পাওয়া যায়।

এছাড়াও বিভিন্ন গ্রুপে সেকেন্ডহ্যান্ড বই বিক্রি করা, অনুবাদ, প্র‍্যাকটিকাল লিখে দেওয়ার মাধ্যমেও অনলাইনে খুব সহজেই অর্থ উপার্জন করা যায়।

নিউজলেটার লিখুন

অনলাইন নিউজলেটার হল একটি ইমেল যা আপনি আপনার গ্রাহকদের কাছে তথ্য শেয়ার করতে বা পণ্য বা পরিষেবার প্রচার করতে পাঠান। ধরা যাক আপনার একটি ব্লগ বা একটি YouTube চ্যানেল আছে যা যোগব্যায়াম সম্পর্কে। আপনার নিউজলেটারে, লিঙ্ক ব্যবহার করে আপনার favorite yoga wear প্রচার করতে পারেন। আপনার পাঠকরা লিঙ্কটিতে ক্লিক করলে, it’s money in your pocket। এছাড়াও আপনি আপনার সাম্প্রতিক অনলাইন যোগ কর্মশালা (online yoga ওয়ার্কশপস), আপনার one-on-one online yoga coaching sessions, এবং আপনার পণ্যের প্রচার করতে নিউজলেটার ব্যবহার করতে পারেন।

ইবুক লিখুন

আপনি কি বছরের পর বছর ধরে নানান বইয়ের আইডিয়া নিয়ে বসে আছেন? যদি তাই হয়, কেন অনলাইনে একটি ইবুক পাবলিশ এবং তা সেল করার চেষ্টা করবেন না? why not try to self-publish and sell an ebook online? ফিনান্সিয়াল এডভাইস এবং self-help থেকে শুরু করে রান্নার বই এবং কথাসাহিত্য, আপনি যা লিখতে পারেন তার কোন শেষ নেই।

Amazon Kindle, Smashwords, এবং Rakuten Kobo সহ অনেক অনলাইন ইবুক প্রকাশক রয়েছে৷ But it takes a significant amount of effort! কিন্তু একবার যদি আপনি পাবলিশ করেন, আপনার ইবুকে প্যাসিভ-আয়ের সম্ভাবনা থাকে।

ভয়েস-ওভার অভিনয়

আপনার যদি খুব সুন্দর গলার ভয়েস, অনন্য, বা রেডিও-ঘোষক টোন থাকে, আপনি ভয়েস-ওভার করতে পারে। সফল ভয়েস-ওভার অভিনেতাদের প্রায়ই অভিনয়ের একটি পটভূমি থাকে (যদিও এটি প্রয়োজনীয় নয়) এবং তারা বিভিন্ন চরিত্র উচ্চারণ করতে সক্ষম হন (able to do different characters or accents.)।

ভয়েস-ওভার অভিনেতারা ইবুক, অনলাইন ভিডিও বা অনলাইন বিজ্ঞাপনের বর্ণনা করার কাজ খুঁজে পেতে পারেন। তবে তা শুরু করার জন্য, সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার একটি পেশাদার পোর্টফোলিও জরুরি । ভয়েস-ওভার অভিনয়ের জন্যও কিছু প্রাথমিক বিনিয়োগ প্রয়োজন। আপনাকে একটি মাইক্রোফোন এবং হেডফোন, সেইসাথে ভয়েস রেকর্ডিং এবং সম্পাদনা সফ্টওয়্যার কিনতে হবে।

অনলাইনে অর্থ উপার্জনের আগে যা মাথায় রাখবেন


কাজ শুরুর আগে যেসব ওয়েবসাইটে বা যার সাথে কাজ করবেন, সে সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে রাখা প্রয়োজন। কারণ, এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলো নানা ধরনের কাজের বিপরীতে ভালো মজুরির আশ্বাস দিলেও শেষমেশ প্রতারণা করে। এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা আপনাকে ঠকানোর জন্য বসে আছে।

তাই নতুন কোনো টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট -এ কাজ করতে চাইলে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া জরুরি। যেখানে কাজ করতে চাইছেন, দেখতে হবে, তা সক্রিয় ও বিশ্বাসযোগ্য কিনা।

অনলাইনে ইনকাম করে যেভাবে টাকা উঠাবেন:


খেয়াল রাখবেন, অধিকাংশ বিদেশি সার্ভে সাইটে পেমেন্ট মেথড হচ্ছে পেপ্যাল। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে পেপ্যাল সাপোর্ট করে না৷ তবে পেপ্যালের জুম সেবা চালুর মাধ্যমে এখন থেকে আপনি সহজেই পেপ্যালের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ওঠাতে পারবেন।

আপনি চাইলে সরাসরি আমাদের স্থানীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট এবং ওয়্যার ট্রান্সফার ব্যবহার করতে পারেন। এই পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে মার্কেটপ্লেস থেকে অর্থ উত্তোলন করতে চাইলে মার্কেটপ্লেসে তা ঠিক করে দিতে হবে। তবে, আপনার উত্তোলনের পরিমাণ যদি ২ হাজার ডলারের বেশি হয়, তাহলে ওয়্যার ট্রান্সফার হবে সবচেয়ে ভালো অপশন।

আপনি যদি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস গুলোর বাইরে সরাসরি কোনো ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করে থাকেন, তাহলে আপনার একটি পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট অথবা স্থানীয় ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আপনি সরাসরি ক্লায়েন্টের কাছ থেকে টাকা আনা খুবই সহজ।

বিকাশ অ্যাপের রেমিট্যান্স লিংক থেকে সহজেই নতুন পেওনিয়ার অ্যাকাউন্টের রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন গ্রাহকরা। যাদের ইতোমধ্যে পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট আছে নিজেদের বিকাশ অ্যাকাউন্টের সঙ্গে তারাও যুক্ত করে নিতে পারবেন। সফলভাবে অ্যাকাউন্ট যুক্ত হয়ে গেলে ফ্রিল্যান্সাররা তাৎক্ষণিক তাদের পেমেন্ট বিকাশ অ্যাকাউন্টে আনতে পারবেন।